রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের আর কোনো সমস্যা থাকছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া উপহারের ২৫ লাখ ডোজ টিকা দুই তিন দিনের মধ্যে চলে আসবে। এছাড়া চীন থেকে কেনা টিকার একটি চালানও শিগগির এসে পৌঁছাবে বলে জানান মন্ত্রী।
বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস ডিবেটিং ক্লাবের উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা তিন দিনের মধ্যে আমেরিকার মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকা পাবে এবং শিগগিরই বাংলাদেশের ক্রয়কৃত ২০ লাখ ডোজ চীনা টিকা এখানে পৌঁছবে।
আবদুল মোমেন বলেন, চীনের সাইনোফার্ম থেকে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ক্রয়ের অংশ হিসেবে ২০ লাখ ডোজ টিকার প্রথম চালানটি শিগগির এখানে পৌঁছবে।
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হুয়ালং ইয়ান তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘সাইনোফার্মের ভ্যাকসিনের ২০ লাখ ডোজ বেইজিংয়ে প্রস্তুত রয়েছে এবং সেগুলো শিগগির ঢাকা পৌঁছবে। মহামারির নতুন ঢেউ মোকাবেলায় চীন আমাদের বাংলাদেশী বন্ধুদের পাশে রয়েছে।’
চীন থেকে সাইনোফার্ম টিকার দেড় কোটি ডোজ এবং রাশিয়ার কাছ থেকে স্পুটনিক টিকার আরও একটি বড় চালান বাংলাদেশ শিগগির পাচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে আবারো করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালসহ টিকা কেন্দ্রগুলোতে দেয়া হবে সিনোফার্মের টিকা। আর ফাইজারের টিকা দেয়া হবে রাজধানীর সাতটি কেন্দ্রে। আপাতত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই সারাদেশে টিকা দেয়া হবে।
১৮ বছরের ওপরের সবাইকে পর্যায়ক্রমে করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার উদ্দেশ্য সামনে রেখে সরকার গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। কিন্তু, টিকার স্বল্পতার কারণে ২৬ এপ্রিল সরকার প্রথম ডোজ টিকাদান বন্ধের ঘোষণা দেয়। এর সপ্তাহখানেক পর একই কারণে সারাদেশের সবগুলো কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকাও বন্ধ করে দেয়া হয়।
ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহে ব্যর্থ হলে, বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচিতে প্রভাব পড়ে। চুক্তি অনুযায়ী, সেরাম থেকে ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল। জানুয়ারিতে সেরাম প্রথম দফায় ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করে। যার মধ্যে ওই মাসে মাত্র ২০ লাখ ডোজের একটি চালান ঢাকায় পৌঁছায়। এরপর সেরাম থেকে বাংলাদেশে আর কোনো চালান আসেনি।